আমলকি খাওয়ার ২0টি উপকারিতা – আমলকি খাওয়ার অপকারিতা

আমলকি খাওয়ার ২0টি উপকারিতা আমলকি খাওয়ার অপকারিতা ও প্রতিদিন কয়টি করে আমলকি খাওয়া উচিত জেনে নিন। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আমলকিতে থাকা বিভিন্ন উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

আমরা বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ার মাধ্যম ভিটামিন বৃদ্ধি করতে চাই কিন্তু আপনি চাইলে ওসব না খেয়ে আমলকি খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ভিটামিন বৃদ্ধি করতে পারেন। আমাদের আর্টিকেলটির পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি আমলকি সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্র: আমলকি খাওয়ার ২0টি উপকারিতা

আমলকি খাওয়ার ২০টি উপকারিতা – আমলকি খাওয়ার অপকারিতা

আমলকি খাওয়ার ২০টি উপকারিতা জেনে নিন। প্রতিদিন একটি করে আমলকি খাওয়া শুরু করুন। কারণ আমলকি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আমলকির আছে আর কিংবা মোরব্বা করে খেতে পারেন। আমলকি খাওয়ার পর মানুষের শারীরিক মানসিক সুস্থতা পাওয়া যায়। নিচে আমলকির ২০ টি উপকারিতা দেওয়া হলো:

১। আমাদের অনেকের ওজন শক্তি কম থাকে সেজন্য যে কোন খাবার খাওয়ার পরে সেটা তাড়াতাড়ি হজম হতে চাই না সেজন্য আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে অনেক উপকারী। নিয়মিত নিয়ম মেনে পরিমান মত আমলকি খেতে পারলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। 
২। চুলে বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর করতে আমলকি অনেক উপকারী। যেমন চুলের গোড়া মজবুত করতে চুল কালো করতে আমলকির তেল ব্যবহার করতে পারেন। এবং আমলকি চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই যেন চুলে সমস্যা হয়েছে তারাই আমলকি ব্যবহার করতে পারেন চুলের জন্য। 
৩। আমলকির মধ্যে রয়েছে আয়রন যে আমাদের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। এবং রক্ত বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। আপনি যদি নিয়মিত আমলকি খান তাহলে রক্তশূন্যতা দূর হয়ে যাবে। এবং রক্ত পরিষ্কার হবে লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি পাবে। 
৪। আমাদের অনেকের অল্প বয়সে চুল পেকে যায়। এবং চুলের মধ্যে খুশকি হয়ে যায়। চুলের মধ্যে খুশকি দূর করার জন্য এবং চুল পাকা রোধ করতে আমরা আমলকি ব্যবহার করতে পারি। আমলকি ব্যবহার ফলে চুল পেকে যাওয়া ও খুশকি দূর হয়ে যায়। 
৫। চোখে দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আমলকি অনেক উপকারী ফল। আপনি যদি নিয়মিত আমলকি খেতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যাবে। 
৬। অনেকের মুখের মধ্যে বিভিন্ন রকম কালচে দাগ পড়ে যায়। সে কালকে তারা দূর করার জন্য আপনি আমলকির রস তৈরি করতে পারেন। আমলকির রস গুলো তুলার মাধ্যমে মুখের দাগের মধ্যে লাগাতে হবে তাহলে মুখের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। এবং মুখের কালো দাগ দূর হয়ে মুখের ত্বক অনেক উজ্জ্বল দেখাবে। 
৭। আমাদের শরীরে যখন টক্সিন পরিমাণ বেড়ে যায় তখন লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। আর এই আমলকি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় এবং লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে। নিয়ম করে আমলকি খায়।
৮। আমাদের শরীরে যখন খারাপ করে কোলেস্ট্রলরেল বেড়ে যায় তখন বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা যায়। আরে ট্রল কমানোর জন্য আমলকি খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। তাই কোলের স্তরের পরিমাণ কমে সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত আমলকি খাবেন। 
৯। আমলকির মধ্যে রয়েছে এন্ট্রি অক্সিজেন যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি না আমি তাহলে কে খান তাহলে আপনার ক্যান্সার হয় যদি অনেকটাই কম থাকবে। সেজন্য আমি তো পরিমাণ মতো আমলকি খান ক্যান্সার হবে না। 
১০। আমলকি খাওয়ার ভেতর আরেকটি কার্যকরী উপকারিতা হল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আপনি আমাকে যদি আমলকি খেতে পারেন অথবা আমলকির রস খেতে পারেন তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
১১। গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থাকলে আমরা কি খেতে পারেন তাহলে গ্যাস এবং এসিড ভালো হয়ে যাবে। দুধ পানি এবং তার সাথে যদি অন্য কিছু মিশিয়ে প্রতিদিন দুইবার করে খেতে পারেন তাহলে এসিডিটি এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। 
১২। আমলকি খাওয়ার উপকারিতা আরো একটি উপকারিতা হল সর্দি কাশি জ্বর ভালো করতে সাহায্য করে। আমলকির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এটি যে কোন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ওম জয় সত্যি কাশি ভালো করতে সাহায্য করে। 
১৩। আমলকি খাওয়ার ভেতর আরেকটি উপকারিতা হলো দাঁত এবং দাঁতের মাড়ি মজবুত রাখতে সাহায্য করে। আমলকির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি সেজন্য এটি যে কোন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য অনেক উপকার। তাই নিয়ম মেনে প্রতিদিন আমলকি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
১৪। আমাদের অনেক সময় বিভিন্ন কারনে  মুখে রুচি হারিয়ে যায় তার জন্য আমলকি খেতে পারেন। আমলকির তোর টক জাতীয় ফল এবং ভিটামিন সি জাতীয় সেই জন্য মুখের রুচি বৃদ্ধি করতে অনেক ভালো কাজ করে।
১৫। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য আমলকি অনেক উপকারী। নিয়মিত আমলকি পরিমাণ মতো খেলে মুখের কালো দাগ এবং ব্রণের দাগের সমস্যা রয়েছে সবকিছু ভালো হয়ে যায়। এবং মুখের ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এটা আমাকে দিতে পারেন। 
১৬। রক্তে ব্লাড সুগারের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। আমাদের রক্ত যখন ব্লাড পরিমাণ বেড়ে যায় তখন ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রকম রোগে আক্রমণ করে থাকে সেজন্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইলে নিয়মিত আমলকি খেতে হবে।
১৭। পেশি শক্তি মজবুত করতে সাহায্য করে ব্রেন ও শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে তখনই শরীরের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে। সেজন্য আপনি যে কোন কাজ করি ভাল ভাবে শেষ করতে পারেন। সেজন্য এই সকল উপকারিতা পেতে নিয়মিত আমলকি খেতে হবে।
১৮। যাদের অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য অন্যকে খাওয়া অনেক উপকারী। ব্রডাইটিস এ সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য অনেক উপকারী। নিয়মিত আমলকি খাওয়ার ফলে এসব সমস্যা কিছুটা নিরাময় করা যায়। সেজন্য আপনার যদি এরকম সমস্যা থেকে থাকে তাহলে নিয়মিত আমলকি খেতে পারেন। 
১৯। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক মানুষের হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যুবরণ করেছে আর এ হার্ট অ্যাটাক করছে। সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত আমলকি খেতে পারেন তাহলে হার্ট সুস্থ থাকবে এবং হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। 
২০। আমলকি খাওয়ার ফলে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে শরীর সুস্থ রাখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সেজন্য এই সকল উপকারিতা পেতে নিয়মিত আমলকি খাবেন। 
শরীরে যখন অতিরিক্ত ফ্যাট বৃদ্ধি পেয়ে যায় তখন বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। এবং মানুষ মোটা হয়েছে এটাই আপনি যদি শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট কমে চিকন হতে চান তাহলে নিয়মিত আমলকি খাবেন। আমরা খাওয়ার ফলে শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ অনেকটা কমে যায় এর ফলে আপনি চিকন হয়ে যেতে পারেন। 

প্রতিদিন কয়টি করে আমলকি খাওয়া উচিত 

প্রতিদিন কয়টি করে আমলকি খাওয়া উচিত জেনে নিন। আমলকি খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। বেশি আমাকে খেলে বেশি উপকার পাবেন না বরং ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন এক থেকে দুইটা আমলকি খাওয়া উচিত। এতে করে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। এবং বেশি উপকার ও পাওয়া যাবে। তা বেশি পরিমাণ আমলকি না খেয়ে নিয়ম প্রতিদিন সকালে আমলকি খাবেন। 

কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা আছে কি 

কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা আছে কি জেনে নিন। আমলকি হলো যত উপকারী পুষ্টি ও ঔষধি গুনাগুন। একটি কমলা থেকে আমলকিতে বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। এমন কেক ডাল নিচ্ছে ১৭ ভাগ গুণ বেশি আমলকিতে ভিটামিন থাকে। কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা গুলো দেওয়া হলো:
  • আমলকি কেন্দ্রের স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে। 
  • বমি  বন্ধে কাজ করে।
  • দীর্ঘমেয়াদি কাশি শুদ্ধ হতে উপকার পাওয়ার জন্য আমলকির রস খুবই উপকারী বা আমলকি নির্যাস যা সর্দি কাশির জন্য উপকারী। 
  • এটি মস্তিষ্কের এবং হৃদযন্ত্র শক্তিবর্ধক।
  • আমলকি দাঁত চুল ভালো রাখে।
  • এতে আমলকি খাওয়াতে খাবারের রুচি বাড়ে। 
  • কোষ্ঠকাঠিন্য মাথাব্যথা অম্ল রক্তশূন্যতা বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে থাকে।

আমলকিতে কি এসিড থাকে

আমলকিতে কি এসিড থাকে জেনে নিন। আমলকি একটি টক জাতীয় ফল। আমলকিতে ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকি বেশি পরিমাণ খান তাহলে উপকার বেশি হবে ক্ষতি কম করবে। 


প্রতিদিন এক থেকে দুটি আমলকি খাওয়া উচিত। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন সি বা এস্করবিক এসিড থাকে (৪৪৫ মিগ্রা/১০০ গ্রাম)। স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আমলকিতে থাকা বিভিন্ন উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা কি 

চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা কি জেনে নিন। চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা অনেক বেশি আপনি যদি আমাকে নিয়মিত পরিমান মত খান তাহলে তো করে চুলের বিভিন্ন রকম উপকারিতা হবে। প্রতিরোধ করবে চুলে গড়া শক্ত করতে সাহায্য করবে, চুল মজবুত করবে ,চুল পাকা প্রতিরোধ করে, চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, এছাড়া চুল সুন্দর রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে আমলকি। 

তাই সব উপকারিতা পেতে চলে আমলকি তেল ব্যবহার করতে পারেন। অথবা আমলকির হেয়ার কেক তৈরি করেছিল চুলের ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে চলে যে কোন সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং চুল থাকবে অনেক সুন্দর ও আকর্ষণীয়। এবং চুলে আমলকি হেয়ার প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। 

আমলকির বিচির উপকারিতা কি

আমলকি বিচির উপকারিতা কি জেনে নিন। আমলকির বিচি শরীরের পা নাকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে, গলা ব্যথা সর্দি কাশি জ্বর সহ বিভিন্ন রকম রোগের জন্য আমলকি বেশি অনেক উপকারী। এছাড়া আমাদের ত্বকের উপকারের জন্য আমলকির বেশি অনেক কাজে লাগে। তাই আমলকি বেঁচে থাকে এ সকল উপকারিতা পেতে ব্যবহার করতে পারেন আমলকির বিচি। এতে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। 

আমলকি খাওয়ার অপকারিতা - আমলকির ক্ষতিকর দিক 

আমলকি খাওয়ার উপকারিতা আমলকির ক্ষতিকর দিক জেনে নিন। কথায় রয়েছে যেদিন উপকারিতা রয়েছে সেজন্য সে অপকারিতা রয়েছে। আমলকি খাওয়ার অপকারিতা গুলো আমলকির ক্ষতিকর যেগুলো রয়েছে নিচে দেওয়া হলো:
  • যাদের উচ্চ রক্তচাপ এর মত সমস্যা রয়েছে তার বেশি পরিমাণ আমলকি খাবেন না তাহলে এতে করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আরো বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। 
  • যদি আপনার শরীরে কোন অপারেশন হয়ে থাকে তাহলে সে সময় আমলকি খাবেন না কারণ সে সময় আমলকি খেলে রক্তপাত হওয়া সম্ভবনা থাকে।
  • আমলকির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি তাই আপনি যদি বেশি পরিমাণ আমলকি নিয়মিত খেতে থাকেন তাহলে আপনার জ্বালাপোড়া হতে পারে। 
  • কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো করার জন্য আমরা অনেক উপকারী কিন্তু অতিরিক্ত খাবারের ফলে শরীরে ফাইবারে পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া সম্ভাবনা থাকে। তাই কখনো অতিরিক্ত আমলকি খাবেন না। 
  • আমলকির মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। তাই আপনি যদি বেশি পরিমাণ আমলকি নিয়মিত খেতে থাকেন তাহলে আপনার জ্বালাপোড়া বেশি হবে। 
  • আমলকি খাওয়ার অপকারিতা বেড়ে যেতে পারে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।
এইছিল আমলকি খাওয়ার অপকারিতা। একটা কথা মনে রাখবেন যে কোন জিনিস অতিরিক্ত ভালো নয়। তাই আপনি যদি আমলকি খেতে উপকার কেটে চান তাহলে পরিমাণ মতো খাবেন অতিরিক্ত পরিমাণ খাবেন না তাহলে কোন ক্ষতি হবে না।

প্রতিদিন আমলকি খেলে কি হয় 

প্রতিদিন আমলকি খেলে কি হয় জেনে নিন। আমলকিতে থাকা বিভিন্ন উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আমলকি জুস বা অন্য কোন ভাবে চিবিয়ে খাওয়াই ভালো। রোজ দুপুর বেলা রাতে খাওয়ার পর এক টুকরো আমলকি খেলে বদ হজমের কোন আশঙ্কা থাকে না। শুকনা আমলকি ফল আদার জন্য করে সে আদা গুড়া আমলকি এক গ্লাস জ্বলে খানিকক্ষণ ভিজিয়ে খেলে পেট খারাপের সমস্যা কমে যায়। প্রতিদিন আমলকি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায় সেগুলো নিচে দেওয়া হলো:

  • ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে অন্যকে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।
  • কোলাজেন উৎপন্ন করে ভিটামিন সি কলা কোলাজেন সংশ্লেষণের জন্য অপরিহার্য।
  • পিগমেন্টেশন এবং দাগ কমায়। 
  • সূর্য থেকে সুরক্ষা রাখতে সাহায্য করে।
  • আদ্রতা বজায় রাখতে পারে। 
  • প্রদাহ কমায়। 
  • অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। 
  • ডিটক্সিফিকেশন।

আমলকি তেলের ৬টি উপকারিতা কি

আমলকি তেলের ৬ টি উপকারিতা কি জেনে নিন। চুলের জন্য আমলকি তেলের উপকারিতা অনেক বেশি। অনেকের অল্প বয়সে চুলে বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যদি আমলকি তেল ব্যবহার করতে পারেন তাহলে এগুলো সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমলকি তেলের ৬টি উপকারিতা গুলো হলো:
  • আমলকি মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি সে জন্য আমরা তেল ব্যবহার করলে ছোট চুল বৃদ্ধি পাবে দ্রুত। 
  • কম বয়সী চুল পাকা প্রতিরোধ করে আমলকি তেল। 
  • মাথার চুল মজবুত করার জন্য আমাকে তেল অনেক উপকারী।
  • চুল ঝরে যাওয়া পড়ে যাওয়া প্রতিরোধ করার অনেক উপকারী।
  • চুলের মাথায় খুশকি দূর করার জন্য আমলকি তেল অনেক উপকারী।
  • চুলের আঁকা যদি ফেটে যায় এবং চুল ভেঙ্গে যায় তাহলে এগুলো সমস্যার সমাধান করতে আমরা কি তার ব্যবহার করতে পারেন তাহলে এসব সমস্যার জন্য ভালো উপকারিতা পাবেন। 

আমলকি খাওয়ার নিয়ম – আমলকি খাওয়ার সঠিক সময়

আমলকি খাওয়ার নিয়ম আমলকি খাওয়ার সঠিক সময় জেনে নিন। আমলকি তো রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। ডায়রিয়া জন্ডিস এবং প্রদাহের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা নিরাময়ের জন্য এটি খাওয়া যেতে পারে। আমলকির রস দিয়ে আপনার দিন শুরু করলে তা শরীরকে সুস্থ রাখতে পারে। আমলকি খাওয়ার নিয়ম বিভিন্ন রকম ভাবে বলে থাকেন। 

আমলকি খাওয়ার নিয়ম প্রথমে দুই একটি আমলকি নিবেন এবং সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে ছোট করে কাটবেন কাটার পর সেগুলো হালকা পরিমাণ গরম পানির মধ্যে দিয়ে, গরম পানি যখন ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন খাবেন। ওই আমলকির কুচি গুলো খেয়ে নিবেন। 

অথবা আপনি চাইলে আরেকটু উপায় খেতে পারেন লোকে প্রথমে কেটে নিবেন কেটে নেওয়ার পর হালকা পরিমাণ লবণ এবং লঙ্কা মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে ভালো উপকারিতা পাবেন। তাই আপনি যদি আমাকে কেউ উপকারিতা পেতে চান তাহলে এই নিয়মগুলো মেনে আমলকি খাবেন। 

আমলকি কার সঠিক সময় হলে সকালবেলা। আপনি চাইলে যে কোন সময় খেতে পারেন এতে করে কোন ক্ষতি হবে না। আমলকি খাওয়ার সঠিক সময় নির্দিষ্ট ভাবে নেই। আপনি যেভাবে আমলকি খান না কেন যদি  পরিমাণমত খান তাহলে কোন ক্ষতি হবে না।

লেখকের মন্তব্য 

আমলকি খাওয়ার ২0টি উপকারিতা – আমলকি খাওয়ার অপকারিতার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আমরা এটা কোন অ্যাসিড থাকে প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত এই সকল বিষয়ে আজকে আর্টিকেলে আলোচনা করা চেষ্টা করি আপনারা এসব ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। আমলকি খাওয়ার পরে আমি নিজে উপকার পেয়েছি তাই এটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। 

আমলকি আমলকির রস বলতে গেলে আমলকি আমাদের জন্য খুবই উপকারী। তারপর যদি এ বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকে তাহলে আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের permanentit ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পার্মানেন্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url